• Skip to Content
  • Sitemap
  • Advance Search
Technology

বায়োমেডিক্যাল গবেষণার মাধ্যমে বিজ্ঞানজগতে ভারতের পরবর্তী দিগন্তের উন্মোচন

Posted On: 09 OCT 2025 3:21PM

নয়াদিল্লি,অক্টোবর ৯, ২০২৫ 


 

গুরুত্বপূর্ণ তথ্য 

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্বের জন্য মোট ব্যয় ১,৫০০ কোটি টাকা।

এই উদ্যোগের লক্ষ্য হল ২,০০০ জনেরও বেশি গবেষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া, উচ্চ-প্রভাবশালী প্রকাশনা তৈরি করা, পেটেন্টযোগ্য কর্মও আবিষ্কার করা এবং সমকক্ষদের স্বীকৃতি অর্জন করা।

এর উদ্দেশ্য হল, মহিলা বিজ্ঞানীদের জন্য ১০-১৫% অতিরিক্ত সহায়তা নিশ্চিত করা, ২৫-৩০% প্রকল্প যেন প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি স্তর (TRL-4) বা তার উপরে পৌঁছায়, এবং দ্বিতীয়/তৃতীয় স্তরের শহরগুলিতে ব্যাপক প্রচার  ঘটানো।

দ্বিতীয় পর্বের কর্মসূচিতে ৯০টি আন্তর্জাতিক ও জাতীয় স্বীকৃতি লাভ করা হয়েছিল।

ভূমিকা

ভারত বর্তমানে জৈবপ্রযুক্তি-চালিত বিপ্লবের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে আছে, যেখানে বায়োমেডিক্যাল গবেষণা জাতীয় স্তরে বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্বের জন্য একটি ভিত্তিপ্রস্তর হিসেবে উঠে আসছে। গত এক দশকে, ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি  'আত্মনির্ভর ভারত', 'সুস্থ ভারত', 'স্টার্টআপ ইন্ডিয়া' এবং 'মেক ইন ইন্ডিয়া'-র মত জাতীয় স্তরে মিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উদ্ভাবন, উদ্যোগ এবং সক্ষমতা নির্মাণে নেতৃত্ব দিয়েছে। এই ধারাবাহিক প্রয়াসের ফলেই ভারত বিশ্বের দ্রুততম-বর্ধিষ্ণু জৈব-অর্থনীতিগুলির  মধ্যে অন্যতম দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে।

এই গতিকে কাজে লাগিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্বের অনুমোদন দিয়েছে। এটি ২০২৫-২৬ থেকে ২০৩০-৩১ সাল পর্যন্ত বাস্তবায়িত হবে এবং এর পরিষেবা পর্ব ২০৩৭-৩৮ সাল পর্যন্ত বিস্তৃত থাকবে। 
বিআরসিপির লক্ষ্য হল বায়োমেডিক্যাল বিজ্ঞান, ক্লিনিক্যাল এবং জনস্বাস্থ্য গবেষণার ক্ষেত্রে একটি বিশ্বমানের গবেষণা ইকোসিস্টেম তৈরি করা। এই কর্মসূচিটি ফেলোশিপ এবং সহযোগী অনুদানের মাধ্যমে কর্মজীবনের বিভিন্ন স্তরে থাকা বিজ্ঞানীদের সহায়তা করে, যাতে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ জনস্বাস্থ্য সমস্যাগুলি মোকাবিলা করার জন্য উচ্চ-মানের ও নৈতিক গবেষণা করা যায়। এটি বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতেও উৎসাহ যোগায়,পাশাপাশি, গবেষণাকে কর্ম, উদ্ভাবন এবং নীতি পরিবর্তনের রূপ দিতে সহায়তা করে।

বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় বিশ্বমানের মান বজায় রেখে ভারতে গবেষণামূলক ফেলোশিপ প্রদানের উদ্দেশ্যে ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি, ইউকের ওয়েলকাম ট্রাস্টের অংশীদারিত্বে, মন্ত্রিসভার অনুমোদনের মাধ্যমে ২০০৮-২০০৯ সালে একটি ডেডিকেটেড বিশেষ উদ্দেশ্যমূলক সংস্থা (Special Purpose Vehicle, SPV), যার নাম DBT/ওয়েলকাম ট্রাস্ট ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স (ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্স)-এর মাধ্যমে “বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রাম” চালু করে। পরবর্তীতে, ২০১৮-১৯ সালে একটি বর্ধিত পোর্টফোলিও নিয়ে এর দ্বিতীয় পর্ব  অর্থাৎ Phase II বাস্তবায়িত হয় এবং বর্তমানে মন্ত্রিসভা এই কর্মসূচির তৃতীয় পর্বের অর্থাৎ Phase III -এর অনুমোদন দিয়েছে।

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রামের গুরুত্ব

বায়োমেডিক্যাল ইকোসিস্টেম গবেষণা, ক্লিনিক্যাল উদ্ভাবন, প্রযুক্তি এবং জনস্বাস্থ্য পর্যন্ত বিস্তৃত। এটি সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা, উন্নত রোগ প্রস্তুতি, উন্নত পুষ্টি এবং ব্যক্তিগত চিকিৎসা সহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে। নিচে দেওয়া ছবিটিতে এই বহুমাত্রিক বায়োমেডিক্যাল ইকোসিস্টেমের বিভিন্ন সুবিধাগুলি তুলে ধরা হয়েছে।

পরীক্ষাগার থেকে জীবন পর্যন্ত: ভারতের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা কর্মসূচির মূল লক্ষ্য

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রাম  ভারতে বিশ্বমানের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা ফেলোশিপে সহায়তা করে। এর লক্ষ্য হল শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক প্রতিভার বিকাশ করা, আন্তঃবিভাগীয় ও রূপান্তরমূলক গবেষণাকে উৎসাহিত করা এবং বৈজ্ঞানিক সক্ষমতায় থাকা আঞ্চলিক বৈষম্য কমাতে গবেষণা ব্যবস্থাপনা ও ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করা। এই কর্মসূচির প্রধান উদ্দেশ্যগুলি নিচে দেওয়া হল :

বায়োমেডিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানে বিশ্বমানের গবেষকদের ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে গবেষণা কার্যক্রম স্থাপন করতে আকর্ষণ করা এবং একই সঙ্গে পূর্ণতা ও স্থায়িত্বপূর্ণ গবেষণা জীবন লালন করা।

ভারতের ব্যতিক্রমী প্রারম্ভিক-কর্মজীবনের গবেষকদের স্বাধীনতা ও কর্মজীবনের অগ্রগতিকে উৎসাহিত করে এমন উদ্যোগের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের অত্যাধুনিক গবেষণায় অর্থায়ন করা।

গবেষণা ব্যবস্থাপনা, বিজ্ঞান প্রশাসন এবং নিয়ন্ত্রক বিষয়াদির মত সহযোগী ক্ষেত্রগুলিতে সচেতনতা তৈরি এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের কর্মসূচী গুলিকে সমর্থন করে উন্মুক্ত ও নৈতিক গবেষণা ইকোসিস্টেমকে প্রচার করা।

সারা দেশে নতুন অঞ্চল এবং সুযোগ-সুবিধা-বঞ্চিত গবেষণা সম্প্রদায়গুলিতে কার্যক্রম প্রসারিত করে ইন্ডিয়া অ্যালায়েন্সের ব্যাপ্তি বাড়ানো।

বিআরসিপি (BRCP ) দ্বিতীয় পর্ব : ৭০০টিরও বেশি অনুদান ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্ব ভারতে বায়োমেডিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল বিজ্ঞানে আন্তর্জাতিককভাবে প্রতিযোগিতামূলক গবেষকদের আকৃষ্ট করার জন্য নকশা করা হয়েছিল। কর্মসূচীটি তার প্রথম দুটি পর্বে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। এই প্রকল্পের আওতায় মোট ২,৩৮৮ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল, যার ফলস্বরূপ ৭২১-টি গবেষণা অনুদান প্রদান করা হয়।

দ্বিতীয় পর্বের এই মিশনের লক্ষ্য ছিল "তহবিল এবং অংশগ্রহণের মাধ্যমে ভারতে বায়োমেডিক্যাল গবেষণাকে সক্ষম করে তোলা।" দ্বিতীয় পর্বের অধীনে থাকা উদ্দেশ্যগুলি নিচে দেওয়া হল:

গবেষকদের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার ক্ষমতা অর্জন করতে এবং ভারতে ভবিষ্যতের নেতা হিসেবে উঠে আসতে ক্ষমতায়ন করা।

গবেষণা ব্যবস্থাপনায় থাকা ফাঁক বা ঘাটতিগুলি পূরণ করা এবং বিজ্ঞান ও সমাজের মধ্যে দৃঢ় সংযোগকে উৎসাহিত করা।

বৈচিত্র্য, অন্তর্ভুক্তি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিজ্ঞানে উৎকর্ষতা বাড়ানো।

ভারতের বায়োমেডিক্যাল সক্ষমতার প্রসার: 

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রামের তৃতীয় পর্ব  আন্তর্জাতিক মানের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা সক্ষমতা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে ভারতের প্রতিশ্রুতির এক প্রধান সম্প্রসারণকে চিহ্নিত করে। এর মূল বৈশিষ্ট্যগুলি হল : 

আর্থিক বরাদ্দ ও অংশীদারিত্ব 
এই কর্মসূচিটি মোট ১,৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ নিয়ে বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীন ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি ১,০০০ কোটি টাকা প্রদান করবে, আর ওয়েলকাম ট্রাস্ট (ইউকে) ৫০০ কোটি টাকা দেবে। সহ-বিনিয়োগের এই অনন্য মডেলটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতায় যুক্ত করার পাশাপাশি, জাতীয় গবেষণা প্রতিভার জন্য নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন নিশ্চিত করতে ভারতের প্রতিশ্রুতিকে আরও শক্তিশালী করে।

সময়সীমা ও কাঠামো 

২০২৫–২৬ থেকে ২০৩০–৩১: সক্রিয় বাস্তবায়ন সময়কাল।এই সময়ে নতুন গবেষণা ফেলোশিপ, সহযোগী অনুদান এবং সক্ষমতা-নির্মাণ উদ্যোগগুলি চালু করা হবে।

২০৩১–৩২ থেকে ২০৩৭–৩৮: পরিষেবা প্রদান সময়কাল । এই সময়ে ইতিমধ্যেই মঞ্জুর করা ফেলোশিপ ও অনুদানগুলির জন্য নিরবচ্ছিন্ন সহায়তা নিশ্চিত করা হবে, যার ফলে প্রকল্পগুলির দীর্ঘমেয়াদী ধারাবাহিকতা ও সমাপ্তি সম্ভব হবে।

প্রতিভা আকর্ষণ ও কর্মজীবনের সহায়তা 

বিআরসিপির তৃতীয় পর্বের লক্ষ্য হল কর্মজীবনের বিভিন্ন স্তর এবং গবেষণার ডোমেন জুড়ে লক্ষ্যযুক্ত সহায়তার মাধ্যমে ভারতের গবেষণা ইকোসিস্টেমকে আরও শক্তিশালী করা : 

প্রারম্ভিক কর্মজীবন ও মধ্যবর্তী গবেষণা ফেলোশিপ : 
মৌলিক, ক্লিনিক্যাল এবং জনস্বাস্থ্য গবেষণার জন্য এই ফেলোশিপগুলি দেওয়া হয়। এগুলি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এবং গবেষকদের কর্মজীবনের গঠনমূলক পর্যায়ে তাদের লালন করার জন্য নকশা করা হয়েছে।

সহযোগী অনুদান কর্মসূচি : 'কেরিয়ার ডেভেলপমেন্ট অনুদান' এবং 'অনুঘটক সহযোগী অনুদান' দ্বারা গঠিত এই কর্মসূচিটি দুই থেকে তিন জন গবেষকের দলকে কেন্দ্র করে গঠিত। এর লক্ষ্য হল ভারতে গবেষণার প্রমাণিত ট্র্যাক রেকর্ড থাকা প্রারম্ভিক থেকে মধ্য-বরিষ্ঠ স্তরের 
গবেষকদের সাহায্য করা।

গবেষণা ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি 

এই কর্মসূচিটি মূল গবেষণা ক্ষমতাগুলিকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করে, যা বৈজ্ঞানিক প্রকল্পগুলির পরিকাঠামো, প্রশাসন এবং ব্যবস্থাপনাকে মজবুত করে।

এছাড়াও, তৃতীয় পর্বে ভারতে বায়োমেডিক্যাল গবেষণার সামগ্রিক প্রভাব ও স্থায়িত্ব বাড়ানোর জন্য পরামর্শদান, নেটওয়ার্কিং, জনযোগ এবং উদ্ভাবনী জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদারিত্ব স্থাপনের ওপর জোর দেয়।

প্রত্যাশিত ফলাফল 

বস্তুত, ২,০০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ও পোস্ট-ডক্টরাল শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়ে, উচ্চ-প্রভাবশালী প্রকাশনা নিশ্চিত করে, পেটেন্টযোগ্য আবিষ্কার সৃষ্টি করে এবং ২৫-৩০% সহযোগী কর্মসূচিকে প্রযুক্তিগত প্রস্তুতি স্তর  বা তার উপরে উন্নীত করে, তৃতীয় পর্ব  ভারতে বায়োমেডিক্যাল উৎকর্ষতার জন্য নতুন মানদণ্ড স্থাপন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই কর্মসূচিটি মহিলা বিজ্ঞানীদের জন্য ১০-১৫% অতিরিক্ত সহায়তা প্রদান করবে, যা ভারতের গবেষণা ব্যবস্থায় আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিকে উৎসাহিত করবে।

এই উদ্যোগটি সরাসরি বিকশিত ভারত ২০৪৭-এর জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যা ভারতকে বায়োমেডিক্যাল উদ্ভাবন এবং রূপান্তরমূলক গবেষণার  জন্য একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করবে।

উদ্ভাবন থেকে রূপান্তর: কর্মসূচির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব

গত দুই দশকে ভারতের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা উদ্যোগগুলি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক অর্জন করেছে:

৭০-টিরও বেশি কোভিড-১৯ প্রকল্পে অর্থায়ন
বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রাম রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা পদ্ধতি, ভ্যাকসিন এবং সহায়ক প্রযুক্তিতে সাশ্রয়ী ও উদ্ভাবনী স্বাস্থ্যসেবা সমাধান বিকাশের জন্য বহু-বিভাগীয় গবেষণাকে সমর্থন করে। এটি ভারতের কোভিড-১৯ গবেষণা প্রতিক্রিয়ার জন্য কৌশলগত কাঠামো সরবরাহ করেছিল, যার মধ্যে ছিল ১০টি ভ্যাকসিন প্রার্থী, ৩৪-টি রোগ নির্ণয় সরঞ্জাম এবং ১০-টি চিকিৎসা পদ্ধতিতে হস্তক্ষেপ - যা মহামারীর জরুরি প্রতিক্রিয়ার সঙ্গে বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ সেন্টার প্রোগ্রামের ভারতের বায়োমেডিক্যাল উদ্ভাবন ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্যকে একত্রিত করে।

বিশ্বের প্রথম ওরাল ক্যানসার জিনোমিক ভ্যারিয়েন্ট ডেটাবেস ডিবিটি-ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স বিশ্বের প্রথম সর্বসাধারণের জন্য গ্রহণযোগ্য ওরাল ক্যানসার জিনোমিক ভ্যারিয়েন্ট ডেটাবেস - dbGENVOC তৈরি করেছে। এটি বিশ্বব্যাপী তথ্যের পাশাপাশি ভারতীয় রোগীদের থেকে প্রাপ্ত ২ কোটি ৪০ লক্ষেরও বেশি ভ্যারিয়েন্ট সঞ্চালনা করে এবং এর মধ্যে অনুসন্ধান ও বিশ্লেষণের জন্য শক্তিশালী সরঞ্জাম রয়েছে। ভারত এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে প্রাপ্ত তথ্য সহ প্রতি বছর এটি আধুনিকীকরণ করা  হয়, যা ওরাল ক্যানসারের গতিপথ  নিয়ে গবেষণায় সহায়তা করে। তামাক চিবানোর কারণে পুরুষদের মধ্যে যেখানে এটি সবচেয়ে সাধারণ ক্যানসার সেখানে ভারতের জন্য এই ডেটাবেস বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ। জনসংখ্যা-নির্দিষ্ট জেনেটিক মিউটেশনগুলি চিহ্নিত করার মাধ্যমে, dbGENVOC আরও ভালো প্রতিরোধ, রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার দিকে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।

জাতীয় এএমআর মিশন 

অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স  মিশনটি রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু পর্যবেক্ষণের জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় চালু করা হয়েছিল। এটি অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স মোকাবিলায় ‘ওয়ান হেলথ’  পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। এর মাধ্যমে নতুন অ্যান্টিবায়োটিক, বিকল্প ও রোগ নির্ণয় পদ্ধতির ওপর গবেষণা ও উন্নয়নকে সমর্থন করা হচ্ছে, রেজিস্ট্যান্ট অণুজীবগুলির একটি জাতীয় বায়ো-রিপোজিটরি স্থাপন করা হচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে ভারতের এএমআর রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুর অগ্রাধিকার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে, এবং ওষুধ-প্রতিরোধী সংক্রমণের বিরুদ্ধে উদ্ভাবনকে শক্তিশালী করতে এএমআর আর এন্ড ডি হাবের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী অংশীদারিত্ব করা হচ্ছে।

বায়ো-রিপোজিটরি এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নেটওয়ার্ক
রূপান্তরমূলক গবেষণার  ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য সারা ভারতে বায়ো-রিপোজিটরি এবং ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এই প্ল্যাটফর্মগুলি উচ্চ-মানের জৈবিক নমুনা ও ডেটার নিয়মতান্ত্রিক সংগ্রহ, সংরক্ষণ এবং আদান-প্রদানকে সম্ভব করে তোলে। এগুলি সম্মিলিতভাবে পরীক্ষাগারের আবিষ্কার থেকে রোগীর উপকারের জন্য ক্লিনিক্যাল প্রয়োগের দিকে উদ্ভাবনের গতিকে দ্রুত করে।

বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় মহিলারা 

ডিপার্টমেন্ট অফ বায়োটেকনোলজি বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় মহিলাদের অংশগ্রহণকে এগিয়ে নিয়ে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ। বায়োকেয়ার কর্মসূচিটি নারী বিজ্ঞানীদের প্রথম স্বাধীন গবেষণা অনুদান প্রদান করে, অন্যদিকে জানকী আম্মাল পুরস্কার প্রবীণ ও তরুণ নারী গবেষকদের বায়োমেডিক্যাল গবেষণায় শ্রেষ্ঠত্বের জন্য সম্মান জানায়। বিআইআরএসির -এর WInER পুরস্কার এবং নারী-কেন্দ্রিক বায়োইনকিউবেটরগুলি নারী-নেতৃত্বাধীন বায়োটেক স্টার্টআপগুলিকে সমর্থন করে। এছাড়াও, ডিবিটি নেতৃত্ব এবং সহযোগিতা বাড়াতে 'গ্লোবাল হেলথ কনফারেন্সে নারী নেতারা' ও সহ-আয়োজক। এই সমস্ত প্রয়াস ভারতের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা ইকোসিস্টেমে অন্তর্ভুক্তি, উদ্ভাবন এবং উৎকর্ষতাকে চালিত করে।

চিকিৎসাজগতের  ভবিষ্যৎ রূপদান:  গবেষণার মূল ক্ষেত্রসমূহ 

ভারতের বায়োমেডিক্যাল গবেষণা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে বিস্তৃত, যার লক্ষ্য হল সাশ্রয়ী, উদ্ভাবনী এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক স্বাস্থ্যসেবা সমাধান প্রদান করা। মূল মনোনিবেশ করার ক্ষেত্রগুলি হল:

মানব জেনেটিক্স ও জিনোমিক্স 

জিনোমইন্ডিয়া (GenomeIndia) এবং উম্মীদের (UMMID) মতো কর্মসূচীগুলি বংশগত রোগের দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং চিকিৎসার মান বাড়ানোর জন্য ভারতের অনন্য জেনেটিক মানচিত্র তৈরি করছে। জিনোম ইন্ডিয়া ১০,০০০ জিনোম সিকোয়েন্স করেছে, যা নির্ভুল চিকিৎসাকে  সম্ভব করেছে এবং আন্তর্জাতিক তথ্যভান্ডারের উপর নির্ভরশীলতা কমিয়েছে। শিশুদের ও নবজাতকদের মধ্যে বিরল ব্যাধিগুলির ওপর মনোনিবেশ করে। এই উদ্যোগগুলি ভারতে পূর্বাভাসমূলক, প্রতিরোধমূলক এবং ব্যক্তিগতকৃত  স্বাস্থ্যসেবার ভিত্তি স্থাপন করছে।

সংক্রামক রোগ জীববিজ্ঞান 

সংক্রামক রোগ জীববিজ্ঞান কর্মসূচিটি এইচআইভি, টিবি, ম্যালেরিয়া, হেপাটাইটিস-এর মতো প্রধান রোগ এবং কোভিড-১৯ ও ডেঙ্গুর মতো উদ্ভূত সংক্রমণগুলিকে লক্ষ্য করে কাজ করে। সময়োপযোগী ও সাশ্রয়ী সমাধান বিকাশের জন্য এটি বৃহৎ আকারের সমগোষ্ঠী গবেষণা, জাতীয় বায়োব্যাঙ্ক এবং রূপান্তরমূলক গবেষণায় সহায়তা করে। এই কর্মসূচির উল্লেখযোগ্য সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ডেঙ্গু ডে ১ টেস্ট এবং এইচআইভি ট্রাই-ডট+এজি টেস্ট। এই সমস্ত প্রয়াস ভবিষ্যতের মহামারীগুলির জন্য ভারতের প্রস্তুতিকে উন্নত করে।

টিকা 

১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ভারত-মার্কিন টিকা অ্যাকশন কর্মসূচি, যক্ষ্মা , ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়া এবং কোভিড-১৯-এর মতো রোগগুলির জন্য টিকা তৈরিতে সহায়তা করে। উল্লেখযোগ্য সাফল্যগুলির মধ্যে রয়েছে  রোটোভ্যাক (ROTAVAC®) - ভারতের প্রথম সম্পূর্ণ দেশীয় রোটাভাইরাস টিকা এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin), যা ডিবিটির সহায়তায় তৈরি হয়েছিল। এই কর্মসূচিটি ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পরিকাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতাগুলিকেও মজবুত করে, যার ফলে, টিকার ক্ষেত্রে ভারতের স্বনির্ভরতা এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নেতৃত্ব এগিয়ে যাচ্ছে।

রোগ নির্ণয় ও সরঞ্জাম 

সিআরআইপিআর (CRISPR) -ভিত্তিক রোগ নির্ণয়, দেশীয় আরটি-পিসিআর (RT-PCR) কিট এবং সাশ্রয়ী চিকিৎসা সরঞ্জামের মত উদ্ভাবনগুলি স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য করে তুলছে। এই সরঞ্জামগুলি খরচ এবং আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমানোর পাশাপাশি, দ্রুত ও নির্ভুল রোগ নির্ণয়ে সহায়তা করে। ডেঙ্গু, কোভিড-১৯ এবং অন্যান্য রোগের জন্য দ্রুত পরীক্ষাগুলি  ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়েছে। জনস্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলার জন্য স্বনির্ভর, মাপযোগ্য প্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

থেরাপিউটিকস ও ড্রাগ রিপারপাসিং 

এই ক্ষেত্রটি নতুন ওষুধের বিকাশকে ত্বরান্বিত করে এবং বর্তমান ওষুধগুলিকে দ্রুত ব্যবহারের জন্য পুনরায় কাজে লাগায়। ড্রাগ রিপারপাসিং খরচ কমায় এবং চিকিৎসার অনুমোদনের জন্য প্রয়োজনীয় সময়কে সংক্ষিপ্ত করে। এর লক্ষ্য হল, ভারতের চাহিদা অনুযায়ী কার্যকর, সাশ্রয়ী থেরাপি সরবরাহ করা।

বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও বায়োডিজাইন 

ইঞ্জিনিয়ারিং এবং চিকিৎসা সংক্রান্ত সহযোগিতার মাধ্যমে সাশ্রয়ী ইমপ্ল্যান্ট, সহায়ক সরঞ্জাম এবং চিকিৎসা যন্ত্রাদি তৈরি করে, যা আমদানির উপর নির্ভরশীলতা কমায় এবং উন্নত স্বাস্থ্যসেবার গ্রহণ যোগ্যতা বাড়ায়।

স্টেম সেল ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন 

এই কর্মসূচি রোগীদের চিকিৎসার বিকল্প উন্নত করার জন্য কোষ-ভিত্তিক থেরাপি টিস্যু পুনরুৎপাদন  এবং ওষুধ সরবরাহ মডেলের  উপর কাজ করতে সহায়তা করে। এই পদ্ধতিগুলি আরও নিরাপদ ও কার্যকর উপায়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং কঠিন-আরোগ্য রোগগুলির চিকিৎসার জন্য নতুন সম্ভাবনা উন্মুক্ত করে।

মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য 

গর্ভিনি (GARBH-ini) কর্মসূচিটি অপরিণত জন্ম - যা শিশু মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ - এবং বিকাশজনিত রোগগুলি  বোঝার উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। এটি বৃহৎ আকারের সমগোষ্ঠী গবেষণার  মাধ্যমে জৈবিক ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণগুলি অধ্যয়ন করে। এর অনুসন্ধানগুলির লক্ষ্য হল চিকিৎসাসংক্রান্ত নির্দেশিকা এবং জনস্বাস্থ্য নীতিগুলির উন্নতি করা। এই কাজটি উন্নত মাতৃসেবা এবং স্বাস্থ্যকর শৈশবের ফলাফলগুলিকে সমর্থন করে।

মেরিন ও অ্যাকুয়াকালচার বায়োটেকনোলজি

মেরিন ও অ্যাকুয়াকালচার বায়োটেকনোলজি কর্মসূচিটি স্বাস্থ্য এবং স্থিতিশীলতা উন্নত করার জন্য জলজ সম্পদকে কাজে লাগায়। এটি জলজ চাষকে রক্ষা করার জন্য মাছের ভ্যাকসিন তৈরি করে, নতুন ওষুধ ও থেরাপির জন্য সামুদ্রিক জীব থেকে জৈব-সক্রিয় যৌগ অনুসন্ধান করে এবং মানুষের স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সামুদ্রিক উৎস থেকে ওমেগা-৩-এর মতো নিউট্রাসিউটিক্যালগুলিকে প্রচার করে।

জনস্বাস্থ্য ও পুষ্টি 

এই কর্মসূচির লক্ষ্য হল, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স, জীবনযাত্রা-সম্পর্কিত রোগসমূহ (যেমন: ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, স্থূলতা) এবং অপুষ্টির মত প্রধান সমস্যাগুলি মোকাবিলা করে জনস্বাস্থ্যের উন্নতি করা। এটি এমন গবেষণাগুলিকে সমর্থন করে যেগুলি সাশ্রয়ী, বিজ্ঞান-ভিত্তিক সমাধান তৈরি করে, যা স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে এবং স্বাস্থ্যকর সম্প্রদায়গুলিকে উৎসাহিত করে।

উপসংহার

বায়োমেডিক্যাল রিসার্চ কেরিয়ার প্রোগ্রাম  হল, ভারতের স্বাস্থ্য ও উদ্ভাবন ক্ষেত্রে একটি কৌশলগত বিনিয়োগ, যা ১,৫০০ কোটি টাকার ভারত - যুক্তরাজ্য অংশীদারিত্বে সমর্থিত এবং জাতীয় অগ্রাধিকারের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দক্ষতাকে একত্রিত করে। শীর্ষস্থানীয় বৈজ্ঞানিক প্রতিভার বিকাশ ঘটিয়ে, আন্তঃবিভাগীয় ও রূপান্তরমূলক গবেষণাকে এগিয়ে নিয়ে এবং গবেষণা ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে, বিআরসিপির তৃতীয় পর্বের লক্ষ্য হল আঞ্চলিক বৈষম্য দূর করা এবং অন্তর্ভুক্তির প্রসার ঘটানো - বিশেষ করে মহিলা বিজ্ঞানীদের জন্য।

ক্ষমতা-নির্মাণের বাইরেও, বিআরসিপির  সুস্পষ্ট ফলাফলগুলি - যেমন ২,০০০ জনেরও বেশি বিজ্ঞানীকে প্রশিক্ষণ, পেটেন্টযোগ্য উদ্ভাবন তৈরি করা এবং প্রযুক্তিগুলিকে টিআরএল-৪ বা তারও উপরে নিয়ে যাওয়া - ভারতের বিকশিত ভারত ২০৪৭ স্বপ্ন পূরণে সরাসরি অবদান রাখবে। BioE3 উদ্যোগের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে, বিআরসিপি ভারতের বায়োমেডিক্যাল ইকোসিস্টেমকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জন্য একটি আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক, উদ্ভাবন-চালিত ইঞ্জিনে রূপান্তরিত করতে সহায়তা করছে।

ভারতে বায়োমেডিক্যাল গবেষণা ইতিমধ্যেই ফল দিতে শুরু করেছে: সিআর আইএসপিআর-ভিত্তিক কিট এবং ডেঙ্গু র‌্যাপিড টেস্টের মতো কম খরচের রোগ নির্ণয় সরঞ্জাম, নিউমোনিয়া, হাম-রুবেলা এবং কোভিড-১৯-র জন্য দেশীয় টিকা, এবং জিনোমইন্ডিয়া (GenomeIndia) প্রকল্পের মাধ্যমে সম্ভব হওয়া ব্যক্তিগত চিকিৎসা। সাশ্রয়ী ইমপ্ল্যান্ট, ভেন্টিলেটর এবং পিপিই (PPE) আমদানির উপর নির্ভরতা কমাচ্ছে, অন্যদিকে জাতীয় এএমআর (AMR) পর্যবেক্ষণ, রোগের ডেটাবেস এবং বায়ো-রিপোজিটরিগুলি জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করছে। পাশাপাশি, নিউট্রাসিউটিক্যালস এবং জৈব-সক্রিয় যৌগ নিয়ে গবেষণা পুষ্টি এবং প্রতিরোধমূলক সেবার মান উন্নত করছে। একত্রে, এই প্রয়াসগুলি স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য, ন্যায়সঙ্গত এবং স্বনির্ভর করে তুলছে এবং বায়োমেডিক্যাল উদ্ভাবনে ভারতকে আন্তর্জাতিক নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করছে।

তথ্যসূত্র

Cabinet

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2173562

Ministry of Science and Technology

https://www.pib.gov.in/PressReleasePage.aspx?PRID=2147239

Department of Biotechnology

https://dbtindia.gov.in/sites/default/files/DBT%20AR%202023-24%20%28English%29.pdf

https://dbtindia.gov.in/sites/default/files/Approved-copy-of-DBT---India-Alliance-EOI_21Aug2023.pdf

https://www.youtube.com/watch?v=5nk3IR5eqfs

https://dbtindia.gov.in/scientific-directorates/health-interventions-equity/diagnostics-drug-discovery

https://dbtindia.gov.in/dbt-press/dbt-nibmg-creates-world%E2%80%99s-first-database-genomic-variants-oral-cancer

https://dbtindia.gov.in/aquaculture-marine-biotechnology-0

https://dbtindia.gov.in/dbt-press/year-ender-2020-department-biotechnology-dbt-mo-s-t

https://dbtindia.gov.in/news-features/genomeindia-project

https://dbtindia.gov.in/scientific-directorates/health-interventions-equity/infectious-diseases

Click here to download PDF

 

SSS/AS......

(Backgrounder ID: 155556) Visitor Counter : 5
Provide suggestions / comments
Link mygov.in
National Portal Of India
STQC Certificate