• Skip to Content
  • Sitemap
  • Advance Search
Technology

বৈদ্যুতিন ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রগতি

উৎপাদন এক দশকে ছয় গুণ বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ১১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

Posted On: 11 OCT 2025 2:16PM

নয়াদিল্লি, অক্টোবর ১১, ২০২৫ 

 

মূল বিষয়গুলি 

বৈদ্যুতিন উৎপাদন ২০১৪-১৫ সালের ১.৯ লক্ষ কোটি টাকা থেকে প্রায় ছয় গুণ বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ১১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

মোবাইল ফোন রপ্তানি ২০১৪-১৫ সালে ১,৫০০ কোটি টাকা থেকে ১২৭ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪-২৫ সালে 
২ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে।

বর্তমানে ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক।

গত ১০ বছরে বৈদ্যুতিন দ্রব্য   উৎপাদন ক্ষেত্রে  ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে।

ভূমিকা

বৈদ্যুতিন বর্তমানে উদ্ভাবন এবং অগ্রগতির চালিকাশক্তিতে পরিণত হয়েছে, যা অর্থনীতিকে চালনা করছে এবং প্রযুক্তিগত প্রেক্ষাপটকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করছে। বিশ্বজুড়ে এই ক্ষেত্রটি যোগাযোগ, যানবাহন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায়  অগ্রগতি নিয়ে আসছে, যা সমাজ কিভাবে জীবনযাপন করবে, কাজ করবে এবং একে অপরের সঙ্গে আদানপ্রদান করবে - তা নির্ধারণ করে দিচ্ছে।

ভারত অত্যন্ত দ্রুতগতিতে প্রধান  বৈদ্যুতিন উৎপাদন কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে, গত এক দশকে ইলেকট্রনিক্স  উৎপাদন প্রায় ছয় গুণ বেড়েছে। এই ক্ষেত্রটি কেবল এর শিল্পভিত্তিকেই প্রসারিত করেনি, বরং গত ১০ বছরে ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থানও তৈরি করেছে, যা কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির মূল চালক হিসেবে এর ভূমিকাকে স্পষ্ট করে। কৌশলগত সরকারি উদ্যোগ এবং শক্তিশালী নীতি সমর্থন স্থানীয় উৎপাদনকে আরও বাড়িয়েছে, রপ্তানি প্রসারিত করেছে এবং উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্তরে বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।

২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি দেশীয় বৈদ্যুতিন উৎপাদন বাস্তুব্যবস্থা গড়ে তোলার উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তিগত বিভাগে নেতা হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার জন্য প্রস্তুত, যা নিজ দেশে বিশাল সুযোগ তৈরির পাশাপাশি, বিশ্বের জন্য উদ্ভাবন করবে।

বৈদ্যুতিন উৎপাদন ও রপ্তানির প্রেক্ষাপট 

'মেক ইন ইন্ডিয়া' এবং 'আত্মনির্ভর ভারত' -এর মতো উদ্যোগের কারণে ভারত দ্রুত ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের আন্তর্জাতিক কেন্দ্রে রূপান্তরিত হয়েছে। শক্তিশালী নীতি সমর্থন, প্রযুক্তিগত অগ্রগতি এবং দক্ষ কর্মীবাহিনী উৎপাদন ও রপ্তানি উভয়কেই নজিরবিহীন উচ্চতায় নিয়ে গেছে।

গুরুত্বপূর্ণ সফলতা :

বৈদ্যুতিন উৎপাদন ২০১৪-১৫ সালের ১.৯ লক্ষ কোটি টাকা থেকে প্রায় ছয় গুণ বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ১১.৩ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে।

একই সময়ে, রপ্তানি আট গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ৩৮,০০০ কোটি টাকা থেকে ৩.২৭ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।

গত ১০ বছরে ভারতে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষেত্রে ২৫ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

২০২০-২১ অর্থবছর থেকে ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারত ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।

২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারতীয় ইলেকট্রনিক পণ্য রপ্তানির শীর্ষ ৫টি গন্তব্য হল : মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সংযুক্ত আরব আমিরশাহী, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য এবং ইতালি।

উৎপাদন-সংযুক্ত উৎসাহ ভাতা  প্রকল্পের মত সহায়তা এবং সহজে ব্যবসা করার মত পদক্ষেপগুলি উৎপাদন ও রপ্তানিকে উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে। বৈদ্যুতিন উৎপাদনের দ্রুত বৃদ্ধি দেশজুড়ে বিশাল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে, একই সাথে ভারতের বৈদ্যুতিন ক্ষেত্র বিশ্বব্যাপী সরবরাহ শৃঙ্খলের সঙ্গে গভীরভাবে একত্রিত হয়েছে, যা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়িয়েছে এবং বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে।

মোবাইল উৎপাদন ও রপ্তানি 

ভারতের মোবাইল ফোন বিপ্লব জীবন ও জীবিকাকে নতুন আকার দিচ্ছে। ভারতীয় পরিবারগুলির ৮৫ শতাংশেরও বেশি কমপক্ষে একটি স্মার্টফোনের মালিক হওয়ায়, এই যন্ত্রটি আজ ব্যাঙ্কিং, শিক্ষা, বিনোদন এবং সরকারি পরিষেবাগুলিতে প্রবেশের মাধ্যম হিসাবে কাজ করছে। মোবাইল সংযোগ আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ডিজিটাল ক্ষমতায়নের এক শক্তিশালী চালক হয়ে উঠেছে, যা ভারতকে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংযুক্ত সমাজগুলির মধ্যে একটিতে পরিণত করেছে।

গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য :

মোবাইল ফোন উৎপাদন ২০১৪-১৫ সালের ১৮,০০০ কোটি টাকা থেকে ২৮ গুণ বৃদ্ধি পেয়ে ২০২৪-২৫ সালে ৫.৪৫ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।

ভারত এখন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারক।

ভারতের মোবাইল উৎপাদন শিল্প দ্রুত প্রসারিত হয়েছে - ২০১৪ সালে যেখানে মাত্র দুটি উৎপাদন ইউনিট ছিল, আজ তা ৩০০-টিরও বেশিতে এসে দাঁড়িয়েছে।

বর্তমানে বার্ষিকভাবে প্রায় ৩৩ কোটি মোবাইল ফোন উৎপাদিত হয়, যার মধ্যে দেশজুড়ে প্রায় ১০০ কোটি ডিভাইস সক্রিয়ভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

রপ্তানি ২০১৪-১৫ সালের ১,৫০০ কোটি টাকা থেকে ১২৭ গুণ বেড়ে ২০২৪-২৫ সালে ২ লক্ষ কোটিতে পৌঁছেছে।

২০২৪ সালে ভারত থেকে অ্যাপেলের রপ্তানি ৪২% বার্ষিক বৃদ্ধির সঙ্গে রেকর্ড ১,১০,৯৮৯ কোটি (ইউএস$১২.৮ বিলিয়ন) ছুঁয়েছে, যা ১ লক্ষ কোটি  অতিক্রম করেছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম পাঁচ মাসেই স্মার্টফোন রপ্তানি ১ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫৫% বৃদ্ধি।

মোবাইল ফোন উৎপাদনে ভারত প্রায় স্বনির্ভরতা অর্জন করেছে - ২০১৪-১৫ সালে যেখানে ৭৮% চাহিদা আমদানি করা হত, সেখানে আজ প্রায় সব ডিভাইসই দেশীয়ভাবে তৈরি হচ্ছে।

২০২৫-২৬ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে (Q2) স্মার্টফোন রপ্তানিতে ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চীনকে ছাড়িয়ে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে।

আধুনিক শিল্পের মেরুদণ্ড হিসেবে ইলেকট্রনিক্স

ইলেকট্রনিক্স আধুনিক অর্থনীতির মেরুদণ্ড তৈরি করে। ঘর থেকে হাসপাতাল, এবং কারখানা থেকে গাড়ি পর্যন্ত - এরা দক্ষতা, আরাম ও উদ্ভাবনকে সম্ভব করে তোলে। আজ প্রতিটি প্রধান ক্ষেত্রই তাদের কার্যক্ষমতা উন্নত করতে, নিরাপত্তা বাড়াতে এবং উন্নত পরিষেবা সরবরাহ করতে ইলেকট্রনিক্সের ওপর নির্ভর করে। প্রযুক্তির বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে, শিল্পজুড়ে অগ্রগতি সাধনে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর গুরুত্ব ক্রমশ বাড়ছে।

যেসব ক্ষেত্রে বৈদ্যুতিন একটি বড় ভূমিকা পালন করে, তার কয়েকটি নিচে উল্লেখ করা হল :

কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স 

কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স দৈনন্দিন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। প্রতিটি পরিবারই এখন টেলিভিশন, রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার এবং ওয়াশিং মেশিনের মতো যন্ত্রপাতির ওপর নির্ভরশীল। এই পণ্যগুলি ঘরে সুবিধা, বিনোদন এবং দক্ষতা এনে দেয়। উপভোক্তা সরঞ্জামগুলির ক্রমবর্ধমান সহজলভ্যতা  এবং বৈচিত্র্য লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ইলেকট্রনিক্সের প্রসারিত ভূমিকাটি প্রতিফলিত করে।

ইলেকট্রনিক উপাদান 

ইলেকট্রনিক উপাদানগুলি হল সমগ্র ইলেকট্রনিক্স ইকোসিস্টেমের ভিত্তি। একটি সাধারণ গৃহস্থালি সরঞ্জাম থেকে শুরু করে জটিল শিল্প ব্যবস্থা পর্যন্ত - এগুলি প্রতিটি যন্ত্রকে শক্তি জোগায়। এই অপরিহার্য অংশগুলি ছাড়া কোনো প্রস্তুতকারকই কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা বা চিকিৎসা সরঞ্জাম তৈরি করতে পারে না। এই উপক্ষেত্রটির শক্তি ইলেকট্রনিক্স শিল্পের সামগ্রিক স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রতিযোগিতা সক্ষমতা নির্ধারণ করে।

অটোমেটিভ ইলেকট্রনিক্স

আধুনিক যানবাহনগুলি কার্যকারিতা, নিরাপত্তা এবং  সংযোগের জন্য বৈদ্যুতিনের ওপর ক্রমশ নির্ভরশীল হচ্ছে। বিশ্ব যখন বৈদ্যুতিক এবং আধুনিক গতিশীলতার দিকে ঝুঁকছে, তখন স্বয়ংক্রিয় ইলেকট্রনিক্সের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। নগরায়ণ এবং পরিচ্ছন্ন পরিবহণের ক্রমবর্ধমান প্রয়োজনীয়তা এই পরিবর্তনকে আরও ত্বরান্বিত করছে। সেন্সর থেকে ইনফোটেইনমেন্ট সিস্টেম পর্যন্ত - ইলেকট্রনিক্স সম্পূর্ণভাবে বদলে দিচ্ছে যে কীভাবে যানবাহনগুলি কাজ করে এবং ব্যবহারকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

মেডিক্যাল ইলেকট্রনিক্স 

জীবনযাপনের ধরনের সঙ্গে সম্পর্কিত অসুস্থতা বৃদ্ধি এবং স্বাস্থ্যসেবার জন্য ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে চিকিৎসা ইলেকট্রনিক্সের বাজার প্রসারিত হয়েছে। অক্সিমিটার, গ্লুকোমিটার এবং ডিজিটাল মনিটরের মতো সরঞ্জামগুলি এখন বাড়ি এবং হাসপাতাল - উভয় ক্ষেত্রেই সাধারণভাবে ব্যবহৃত হয়। চিকিৎসা প্রযুক্তির উদ্ভাবন রোগ নির্ণয়, চিকিৎসা এবং রোগীর সেবার মান উন্নত করছে। ইলেকট্রনিক্স স্বাস্থ্যসেবাকে আরও সহজলভ্য, নির্ভুল এবং একটি পরিবর্তিত বিশ্বের প্রয়োজনে উপযোগী করে তুলেছে।

ইলেকট্রনিক্স উৎপাদনের জন্য প্রধান সরকারি উদ্যোগসমূহ 

ভারত সরকারের শক্তিশালী নীতি সমর্থন এবং সুনির্দিষ্ট উদ্যোগের জোরে ভারতের ইলেকট্রনিক্স শিল্প বৃদ্ধি পেয়েছে। এই কর্মসূচিগুলির লক্ষ্য হল - বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলক একটি উৎপাদন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা, বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা, একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মূল্য শৃঙ্খলে ভারতের ভূমিকাকে শক্তিশালী করা।

উৎপাদন-সংযুক্ত উৎসাহ ভাতা প্রকল্প
উৎপাদন-সংযুক্ত উৎসাহ ভাতা প্রকল্প, যার জন্য ১.৯৭ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে, সেটি ইলেকট্রনিক্স এবং আইটি হার্ডওয়্যার-সহ ১৪টি মূল ক্ষেত্র জুড়ে বিস্তৃত। এই প্রকল্পের মাধ্যমে কোম্পানিগুলিকে উৎপাদন বৃদ্ধি, নতুন প্রযুক্তি গ্রহণ এবং রপ্তানি প্রসারে উৎসাহিত করা হয়।

টেক্সট বাক্স : বৃহৎ আকারের ইলেকট্রনিক্স উৎপাদন এবং আইটি হার্ডওয়্যারের জন্য 
পিএলআই প্রকল্প

আকৃষ্ট বিনিয়োগ: ১৩,১০৭ কোটি টাকা

উৎপাদিত সামগ্রী: ৮.৫৬ লক্ষ কোটি টাকা

অর্জিত রপ্তানি: ৪.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা

১.৩৫ লক্ষেরও বেশি প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে
(তথ্য জুন ২০২৫ পর্যন্ত)।

আগে যেমন উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবছর থেকে বৈদ্যুতিন উৎপাদন ক্ষেত্রে ভারত ৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে। এই বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রায় ৭০% এসেছে পিএলআই প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে।

বৈদ্যুতিন উপাদান ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রচারের প্রকল্প স্পেকস (SPECS)

স্পেক্স (SPECS) প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিন পণ্য উৎপাদনের জন্য মূলধনী ব্যয়ের ওপর ২৫ শতাংশ আর্থিক উৎসাহ ভাতা প্রদান করে। এটি গুরুত্বপূর্ণ সরবরাহ শৃঙ্খলের ব্যবধান পূরণে সহায়তা করে, স্থানীয় উৎপাদনে উৎসাহ দেয় এবং সমাবেশ-ভিত্তিক  উৎপাদন থেকে উচ্চ-মূল্যের উপাদান উৎপাদনে ভারতের রূপান্তরে সহায়তা করে।

বৈদ্যুতিন উপাদান উৎপাদন প্রকল্প ইসিএমএস (ECMS)

২০২৫ সালের ১ মে তারিখে মন্ত্রীসভা ২২,৯১৯ কোটি টাকার আর্থিক বরাদ্দ-সহ ইসিএমএস (ECMS) প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়। এই প্রকল্পে ২৪৯-টি আবেদন জমা পড়েছে, যা শিল্পের আগ্রহের দৃঢ়  ইঙ্গিত দেয়। বস্তুত, ১,১৫,৩৫১ কোটি টাকার প্রত্যাশিত বিনিয়োগ প্রতিশ্রুতি মূল লক্ষ্যমাত্রা ৫৯,৩৫০ কোটির প্রায় দ্বিগুণ।

পরবর্তী ছয় বছরে এই প্রকল্পের মাধ্যমে ১০,৩৪,৭০০ কোটি টাকার উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা প্রাথমিক লক্ষ্যমাত্রা ৪,৫৬,০০০ কোটির তুলনায় ২.২ গুণ বেশি। এটি ৯১,৬০০ কর্মসংস্থানের লক্ষ্যকে ছাড়িয়ে ১,৪২,০০০ প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে বলে অনুমান করা হচ্ছে, সাথে বহুগুণ অপ্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানও তৈরি হবে। এটি বড় আকারের কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি চালনায় প্রকল্পের সম্ভাবনা তুলে ধরে।

এই বিপুল উদ্যোগ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের ক্রমবর্ধমান মর্যাদা এবং এমএসএমই সহ দেশীয় বৈদ্যুতিন শিল্পের ওপর ক্রমবর্ধমান আস্থাকে প্রতিফলিত করে। ২০২৫ সালের ১লা মে থেকে শুরু হওয়া আবেদনের প্রাথমিক সময়সীমা তিন মাস থেকে বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছিল। আশা করা হচ্ছে, 
ইসিএমএস (ECMS) প্রকল্পটি ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের দেশীয় বৈদ্যুতিন উৎপাদন বাস্তুব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নপূরণের পথে ভারতকে আরও দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাবে।

জাতীয় বৈদ্যুতিন নীতি (NPE) ২০১৯

জাতীয় ইলেকট্রনিক্স নীতি ভারতকে ইলেকট্রনিক্স সিস্টেম ডিজাইন ও উৎপাদনের (ESDM) একটি আন্তর্জাতিক কেন্দ্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্য রাখে। এই নীতিতে ২০২৫ সালের মধ্যে  ইএসডিএম (ESDM) থেকে ৪০০ বিলিয়ন ডলার রাজস্ব অর্জনের পরিকল্পনা রয়েছে। নীতিটি উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করে, নকশা-ভিত্তিক উৎপাদনকে প্রেরণা যোগায় এবং শিল্পের দীর্ঘমেয়াদী বৃদ্ধি নিশ্চিত করতে গবেষণা ও উন্নয়নে সহায়তা করে।

উপসংহার 

ভারতের বৈদ্যুতিন ও মোবাইল উৎপাদনের এই যাত্রা উচ্চাকাঙ্ক্ষা, উদ্ভাবন এবং বিশ্বব্যাপী প্রতিযোগিতামূলকতার প্রতিফলন। উৎপাদন-সংযুক্ত উৎসাহ ভাতা (PLI), বৈদ্যুতিন উপাদান উৎপাদন প্রকল্প (ECMS), এবং বৈদ্যুতিন উপাদান ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন প্রচারের প্রকল্প (SPECS)-এর মতো উদ্যোগগুলি দেশীয় উৎপাদনকে চালিত করেছে, সরবরাহ শৃঙ্খলকে শক্তিশালী করেছে এবং রপ্তানিকে বাড়িয়ে দিয়েছে। জাতীয় বৈদ্যুতিন নীতি এবং 'মেক ইন ইন্ডিয়া' (Make in India)-এর অধীনে নেওয়া উদ্যোগগুলির সঙ্গে সম্মিলিতভাবে এই ব্যবস্থাগুলি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে, বিনিয়োগ আকর্ষণ করেছে এবং ভারতের প্রযুক্তিগত স্বনির্ভরতা বাড়িয়েছে। নিরবচ্ছিন্ন উদ্ভাবন এবং নীতির সহায়তায়, দেশটি ২০৩০-৩১ সালের মধ্যে ৫০০ বিলিয়ন ডলারের একটি দেশীয়  বৈদ্যুতিন বাস্তুব্যবস্থা অর্জন করতে এবং ইলেকট্রনিক্স ও মোবাইল প্রযুক্তিতে বিশ্বব্যাপী নেতা হিসেবে তার অবস্থান সুরক্ষিত করতে প্রস্তুত।

তথ্যসূত্র:

PIB Backgrounders:

Ministry of Electronics & IT:

 

Ministry of Communications:

 

Ministry of MSME:

 

Ministry of Commerce and Industry:

 

SSS/AS

(Backgrounder ID: 155535) Visitor Counter : 3
Provide suggestions / comments
Link mygov.in
National Portal Of India
STQC Certificate